top of page

 

 

Ignoring an ignorant is perhaps the best way to avoid any unnecessary conflict unless you are emotionally and/or biologically attached to that creature.

Rajib Sarkar

13.07.2023

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

''Your imaginative and innovative thinking is useless unless you are able to communicate unless you are able to express.''

Rajib Sarkar

11.07.2023

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

গভীর মৌলিক গবেষণা কিন্তু তার নিজের মতন করেই শাখা প্রশাখা তৈরি করে। যারা গভীর মৌলিক বিজ্ঞান করেন, তাঁরা কিন্তু তাঁদের বিজ্ঞানের নির্ধারিত সমস্যাগুলো নিয়ে, তাঁদের নির্দিষ্ট কলা-কৌশল নিয়ে, পদ্ধতি নিয়ে বছরের পর বছর লেগে থাকেন, তার উন্নতির চেষ্টা করেন। পরের কাজটি ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে মিলেমিশে করেন। এক বা একাধিক টার্গেট রাখা যেতে পারে, কিন্তু তা ঠিক করে দেবে কে! অশিক্ষিত, ধান্দাবাজ শাসকেরা যদি প্রফাউন্ড সায়েন্স করাতেও নাক গলাতে শুরু করেন তাহলে আর যাই হোক মৌলিক বিজ্ঞানের যথাযথ বিকাশ কতোটা হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। আর মৌলিক গবেষণা ঠিকঠাক না হলে, প্রযুক্তির নতুন দিশা কখনই আসতে পারে না। দেশ আজীবন সারভিস প্রভাইডার এবং কনজিউউমার হিসেবেই থেকে যাবে, প্রযুক্তি শুধু কিনেই যেতে হবে। গভীর মৌলিক গবেষণা এক কঠিন অধ্যাবসার বিষয়, সময়ের বিষয়, লেগে থাকার বিষয়, শর্ট-টার্ম পলিসি তৈরি যারা করেন, যারা মাথা ঘামান তাঁরা এর গভীরতা এবং প্রয়োজন বুঝবেন কী করে!

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

If we don't feel responsible for a system, then we have no right to be a part of it. We must quit, and look for a compatible one.

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------আসক্তি, খোশখেয়াল নিয়ে কেউ জন্মায় না। এইগুলি সময়ের সাথে, বয়স বাড়ার সাথে তৈরি করতে হয়, তা কারোর ক্ষেত্রে এমনিই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু সেগুলোকে ধরে রাখতে হলে, বা টিকিয়ে রাখতে হলে, যথাযথভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রয়োজন হয় কঠিন অনুশীলন, নিয়ম, প্রয়োজন সময়, অনেকটা পথ চলার ধৈর্য এবং অর্থ। উচ্চমানের সংগীতচর্চা, কিছু ক্রীড়া, মৌলিক গবেষণা, মননশীল বই লেখা এবং প্রকাশ এইরকমই কয়েকটি ক্ষেত্র। শুধুমাত্র জন্মগত মেধা দিয়েই এইসব হয় না। মানুষ কিছুটা মেধা নিয়ে জন্মাতে পারে। কিন্তু সেই মেধাই শেষ কথা বলে না। মেধা হয়ত কিছুটা সাহায্য করতে পারে তার তৈরি করা গন্তব্যে পৌঁছাতে, কিন্তু অধিকাংশেরই দেখা যায় কঠোর পরিশ্রম, অনুশীলন, রুটিন ছিল তার গন্তব্যে পৌঁছানোর একাধিক চাবি। যারা ভাবে রসনা বিলাসে ডুবিয়ে রেখে, আড্ডা এবং উল্লাসে সর্বদা নিজেকে মাতিয়ে রেখে, বাকিটা মঞ্চে একেবারে ফাটিয়ে দেব, তা ভাবতে পারেন, কিন্তু অধিকাংশেরই তা কাজে আসে না।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------ঘরের চারিপাশে দুই-একটা আগাছা হলে তা সহজেই গোঁড়া থেকে উফরে ফেলা যায়, এবং তা প্রতিনিয়ত করা যা যায়, তাতে ক্লান্তিও আসে না। কিন্তু সমস্যা হল, যেদিকে চোখ যায়, শুধু আগাছাই আর আগাছা, তখন জায়গা পরিবর্তন করা ছাড়া আর কোনো উপায় যে থাকে না অথবা সেই আগাছাদের মধ্যেই বেঁচে থাকার উপায় শিখে নিতে হয়। কারণ আগাছাদের আচার, আচরণ কিন্তু সেই আগাছাদের মতনই হবে। তা সহজে বদলানোর নয়। তা বলে কি কোনো আশাই নেই!

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আমাদের জীবনের চাহিদা প্রচুর, আর চাহিদার কোনো শেষও নেই। কিন্তু প্রয়োজন আমাদের অনেক কম। একে অন্যের চাহিদা পূরণের পিছনে ছুটলে, ছোটাও কোনোদিন শেষ হবে না, আর চাহিদা পূরণও শেষ হবে না। দুদণ্ড বিশ্রাম নেওয়ার হয়ত যেদিন সময় হবে, তখন উপায় থাকলেও আর ইচ্ছা সায় দেবে না।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------দেশে বিদেশের বাংলার অনেক সক্রিয় বিজ্ঞানী এবং গবেষক যদি তাঁর নিজের বিষয়ের উপর অন্তত একটি করেও বাংলা ভাষায় বই লিখতেন, সাধারণের জন্যে, তাঁদের জীবনকালে তাহলে বাংলা ভাষার এবং বাংলার মানুষের প্রগতির চিত্র অনেকটা অন্যরকমই হতো বলে মনে হয়। পৃথিবীর সমস্ত এগিয়ে থাকা দেশগুলো দেখলে এটা অন্তত পরিষ্কার বিজ্ঞানকে যদি মানুষের মধ্যে সঠিকভাবে প্রসার না করা যায় তাহলে সমাজ সংস্কার করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। এ কাজগুলো কিন্তু সক্রিয় বিজ্ঞানী এবং গবেষকদেরই করতে হবে। রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক স্তরে যারা বসে আছেন তাঁরা কিন্তু এই কাজগুলো করবেন না এবং উৎসাহও দেবেন না, নিজের স্বার্থেই তাঁরা করবেন না বা দেবেন না।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

বিজ্ঞানী এবং লেখক স্টিফেন হকিং-এর লেখা ‘A Brief History of Time’ একটি অন্যতম জনপ্রিয় বিজ্ঞানের বই। স্টিফেনের যখন বয়স ছিল ৪৬, ১৯৮৮ সালে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ইংরিজি ভাষায়। বইটিতে সমীকরণ নেই বললেই চলে। প্রকাশকের এতে নাকি আপত্তি ছিল। বইটির বিষয় কিন্তু মোটেই সহজ নয়, বইটি যতই জনপ্রিয় হোক। আমি কয়েকজনের সাথে কথা বলে জেনেছি, তিনি বিজ্ঞানের লোক হোক বা না হোক। ভাষা সুন্দর হলেও বিষয়টি বুঝে ওঠা সহজ নয়। তবুও বইটি এখনও অবধি নাকি ২৫ মিলিয়ন (২.৫ কোটি) কপি বিক্রি হয়েছে। ভাবা যায়। বাংলা ভাষায় কোনো জনপ্রিয় বিজ্ঞানের বই এইরকম জনপ্রিয় হবে বা অন্তত এর এক শতাংশও মানুষ সংগ্রহ করবে। এর স্বপ্ন কি আমরা দেখতে পারি! মনে হয় না। অথচ ৩০০ মিলিয়ন জনতা বাংলা ভাষায় কথা বলে সারা বিশ্বে। এই প্রসঙ্গে কৌশিক গাঙ্গুলির সিনেমা অপুর পাঁচালীর একটি সংলাপের কথা মনে পড়ল ‘’Your work may not reach your destination but your intention should.’’ বাংলায় বলা যাবে (আপনার কাজ আপনার গন্তব্যে না পৌঁছালেও, আপনার উদ্দেশ্য সেখানে পৌঁছানো উচিৎ)

Rajib Sarkar

16.04.2023
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

নিজের ঢাক নিজে পেটান

নিজের ঢাক সর্বদা নিজে পিটিয়ে গৌরবের কিছু নেই সেকথা আমরা হয়ত অনেকেই মেনে নেবো। কিন্তু প্রশ্ন হল নিজের যে একটি ঢাক আছে, এবং তা যে নিজেই বাজাতে পারি, সেই খবর মানুষের কাছে পৌঁছাবে কী করে! তাই শুরুতে নিজের ঢাক নিজেকে একটু-আধটু পেটাতেই হয়। নিজের ঢাককে আবার অন্যের হাতে একেবারে ছেড়ে দিলেও চলে না। সে হয়ত এমনই আসতে পিটল, যে ঢাকের শব্দই মানুষের কাছে পৌঁছল না। অথবা এতোই জোড়ে পিটল যে শুধু ঢাকই ফেটে গেল এমন নয়, ফাটার আগে শ্রোতাদের কানও ফাটিয়ে দিল। সেক্ষেত্রে নিজের ঢাকও রইলো না, এবং নিজের ঢাক বাজানর যে দক্ষতা আছে তাও মানুষ জানলো না। আসলে এখানে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্যের আবশ্যক হয়। বিজ্ঞাপন বিষয়টি হল অনেকটা এইরকমই। আর ফেসবুকের মতন সমাজ মাধ্যমগুলির কাজই তাই। মোদ্দা কথা এইসব বুঝে শুনে কাজে লাগানো উচিৎ। যদি জীবনের সমস্ত কিছু আমরা ধরে নি এই মাধ্যম থেকেই শিখে নেবো, তাহলে আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দরকার হতো না, অভিজ্ঞ শিক্ষিত মানুষদের দরকার হতো না, মানুষের বই লেখার প্রয়োজন হতো না, প্রবন্ধের আবশ্যক হতো না। সমাজ-মাধ্যমে রিয়াএলস দেখে, তারকাদের পিছনে সময় দিতেই পারেন, কিন্তু শেষমেশ এর থেকে কিছু নতুন শেখা জানা গেল কিনা, বা টেকনিক্যাল স্কিল তৈরি হলও কিনা তাও কিন্তু ভাবতে হবে। তা না হলে এরা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আসল মুনাফা লুটে যাবে। আর সাধারণের সময়ের অপচয় ছাড়া কিছুই হবে না। কারণ সময় এবং অর্থ দুইয়েরই কিন্তু অধিকাংশ মানুষেরই অভাব। তাই ভাবনা চিন্তা করে কাজে লাগানো উচিৎ।

রাজীব সরকার

০৪,২০২৩

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

মানুষগুলোকে পছন্দ হয়তো, তাঁদের মতাদর্শ, ভাবনাকে ছোঁয়া যায় না, মানুষগুলোর ভাবনা, মতাদর্শকে ছোঁয়া গেলেও, মানুষগুলোকে পছন্দ হয় না। কতো মানুষের সারা জীবনটাই কেটে যায় সঠিক সমন্বয়ের মানুষগুলোকে খুঁজে পেতে। তবু সফলতা আসে না।

রাজীব সরকার

০৪,২০২৩

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

 

Settling down in a country like Germany as a first-generation, as a scientist, and taking a career in academics, in particular as a physicist, is not an easy path, at least for me. It took more than a decade to establish your trust and competence level. Then I could have settled down here in Dresden as an academician and scientist. I was born and brought up in India, in a small town located 52 km away from Kolkata. I did my bachelor's in 2000, never being a careerist, I was flowing in the wave, and enjoying and spending my life on many other attractive things in those days, I thought were more relevant to my life. The first time I used a mobile it was around 2004. The first time I drank a beer was when I was 24 years old of course with my own earned money. When I first received the fellowship as a Ph.D. scholar, the first thing I did was buy a music system. I was always fond of music. The first time I used the internet was in 2002. In those days information was not so easily available. I never thought before my Ph.D. that I would settle outside of India, I never thought until my 30s I would even become a writer. Still, I am not that careerist not running after power and money. One thing I have learned through all the ups and downs in my personal life, you can make many plans in your life but the consequences are emergent phenomena, many parameters are involved, and there is no such unique solution. Every six to seven years your biological systems, and your thinking also change. So be happy, and try to do what you like with honesty so that at some point in your life you need not regret it.

 

Rajib Sarkar

04,2023

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

Some events in life happen before one realizes it. Time and patience are the only way to deal with those events. (Nothing personal)

Rajib Sarkar

04.2023

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

ওদেরও রাগ হয়, কষ্ট হয়, অভিমান হয়, ওদেরও হতাশা আসে। ওরা যে বঞ্চিত হয়েছে বা হচ্ছে তাও কখনও ওদের মনে হয়। তা বলে কি ওরা এর থেকে মুক্তি পেতে, অস্থিরতা দূর করতে ওরা কি কারোর দ্বারস্থ হয়, যার কোনো অস্তিত্ব নেই বলে ওরা মনে করে তার কাছে যায় বা তাকে মনে করে, বা তাকে ডাকে। না যায় না, এদের মনে করে না, এদের চিন্তাতেই আনে না। ওরা সাহায্য নেয় ডাক্তারের, মনোবিজ্ঞানীদের। ওরা মালকোষ শোনে, গান শোনে, শরীরচর্চা করে, ঘাম ঝরায়, কিলোমিটারের পরে কিলোমিটার হাঁটতে যায়, সাইকেল চালায়, প্রকৃতির কাছে যায়, ওরা লেখে, মননশীল বই পড়ে, বাগান করে, ঘরের কাজ করে, বিজ্ঞান করে, ভাবে ওদের থেকেও কতো মানুষ পিছিয়ে আছেন, অভাবে আছেন, কষ্টে আছেন। কোথায় যে প্রতিহিংসা, রাগ, হতাশা হাওয়া হয়ে যায়, তা ওরা নিজেরাই বুঝতে পারে না। কখন যে আবার মন ফুরফুরে হয়ে ওঠে তা ওরা নিজেরাই বোঝে না। আবার নতুন করে শুরু করে। ওদের জীবন এইভাবেই চলে। মানুষ ওদের সব সময় হাসি মুখই দেখে। ওরা বাঁচে শুধু বাঁচার জন্যে, এই জীবনকে উপভোগ করার জন্যে। জীবন হারালে যদি ওদের রক্ত মাংসের শরীরের কোনো অংশ মানুষের কাজে না লাগে, ওদের কঙ্কাল চিকিৎসকদের কাজে না লাগে, তবে ওরা পুড়তে চায়। পৃথিবীর জায়গা অনেক সীমিত। জীবন হারালেও ওরা বাঁচতে চায় ওদের করে যাওয়া কাজের মাধ্যমে। ওরা এইভাবেই এগিয়ে চলে।

Rajib Sarkar 

01.04.2023

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

Life is nothing but full of many large or small scale experiments. Sooner you realize this better you can deal with the consequences. Every experiment has a certain probability of encountering many unwanted problems, and even leads to complete failure. So be prepared for that and don’t waste your time blaming others, blaming yourself, blaming the society and so on because this will not help you to move forward and to lead your life positively.

Rajib Sarkar

14.03.2023

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সেইসব বইয়েরও সংশোধনের এবং সংযোজনের প্রয়োজন নেই কী!

আমরা জানি এবং শিখি বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে। অনেক জিনিস আমরা জানি বই পড়ে, অধিকাংশ জিনিস জানি এবং শিখি আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে, সেই অভিজ্ঞতা আসে হাতে কলমে পরীক্ষার মাধ্যমে, আসে প্রতিদিন চলার পথে আমরা যা দেখি এবং নিজে করি তার থেকে। আমরা শুনেও জানি এবং শিখি। এ গেলো আমদের জানা এবং শেখার কথা। এইসব অভিজ্ঞতাই আমরা কাজে লাগাই আমাদের অসংখ্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে, সংগঠিতভাবে, যথাযথভাবে কোনো কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। যে যতো পণ্ডিত, যার প্রয়োগ করার ক্ষমতা যতো বেশি, যে দূরের জিনিস আগেই কল্পনা করে উঠতে পারেন, তাঁরাই সমাজের সেই অর্থে গণ্য-মান্য ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকেন, এঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার অতিমানব হিসেবেও সমাজের কাছে স্বীকৃত, ইতিহাসের পাতায় তাঁরা স্বীকৃত। আমরা যখন বিজ্ঞান করি, বা গবেষণা করি, তার থেকে প্রাপ্ত ফল আমরা লিখে রাখি। আমরা বিজ্ঞানের বই পড়ি, সেই বইকে সংশোধনের জায়গা আমাদের আছে, আছে আমাদের প্রজন্মের। সেইভাবেই বিজ্ঞান এগিয়ে চলেছে যুগ যুগ ধরে। কোনো একটি বিষয়ে ধারণা পরিষ্কার না হলে, আমরা সেই বিষয়ের একাধিক বইয়ের সাহায্য নিয়ে থাকি, একাধিক অভিজ্ঞ মানুষের মতামত নিয়ে থাকি। এরই সাথে আবার আমরা নিজে হাতে কলমে করেও দেখি। তবে এই পৃথিবীতে এমন বইও আছে, তা কিন্তু লেখা হয়েছিল কয়েক শতক আগে। কোনো প্রজন্মের, কোনো অতিমানবের, কোনো সাধারণ মানুষের সেখানে লিখিত বাক্যগুলোর সামান্য পরিবর্তনেরও অধিকার নেই। পৃথিবী বদলেছে, সমাজ বদলেছে, আমরা চারিপাশে দেখি আজ বিজ্ঞানের প্রভাব। বিজ্ঞান আছে এখানে, বিজ্ঞান আছে সেখানে এবং বিজ্ঞান আছে সর্বত্র। তাই সেইসব বইয়েরও সংশোধনের এবং সংযোজনের প্রয়োজন নেই কী!! জানি না সেইসব বই আধুনিক মানুষদের, প্রজন্মকে কি নতুন দিশা দিতে পারে! বিজ্ঞান তার আভিজাত্য নিয়ে এগিয়ে যাবেই। কারণ মানুষের প্রয়োজনই তাকে টিকিয়ে রাখবে। অপেক্ষায় থাকলাম সেই দিনের যেদিন সেইসব বই থেকে নতুন কিছু দিশা পাবো!

Look at things from different perspectives

Have you ever thought about viewing our world from different perspectives? Perhaps, most of us do not! I have also not given attention to this until one friend of mine, a young Indian mathematician, told me that. In our life we hardly try to look at things from different perspectives, always we follow convention, as it is easy to follow. In such cases we need not to think. We need not to put extra pressure on our brain. But, from time to time it is good not to follow conventions, it is rational to view things differently than what mass, media, and state propaganda want to show us.

কিছু শব্দের যথার্থতা

কর্মের ফল, পাপের ফল, পাপ ছাড়ে না বাপেরে, এই শব্দগুলোর কী সত্যিই কোনো যথার্থতা আছে আমাদের জীবনে। আর থাকলেও তার কতোটা গুরুত্ব দেওয়া আমাদের দরকার। আমার দেখা অনেক ধান্দাবাজ, সুবিধাবাদী, মিথ্যাবাদী, ম্যানিপুলেটর, নীতি-অবনত মানুষ অনায়াসে, বহালতবিয়তে তাদের জীবন কাটিয়ে দিল। তাদের কিছুতেই কিছু আসলো গেলো না। আবার অন্যদিকে অনেক সৎ, পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান মানুষ জীবনে অযথা ঝামেলা, অনেক কষ্টে, শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তাঁদের অধিকাংশ জীবনটাই কাটালো। ভাবো, অন্তত ভাবার চেষ্টা করো। পঞ্চইন্দ্রিয় খোলা রাখো, তাহলে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

Academics, scientists and writers are also professionals 

Do you expect that any doctors, engineers, architects, lawyers will give you a free consultation? I am pretty sure you don’t. Because, you consider them as professionals. Because you consider that in their case the time and their experiences are compensated by money. Now when it comes to the question of academics, scientists and writers you (commoners) start to think that their consultation is somehow free. But you must not forget they are also professionals, their time also can be compensated by remuneration. Unfortunately, the majority of us don’t like to think in that way. Their time is also limited; they have also worked hard to achieve something, to gain considerable experiences. Next time when you ask for any consultation why not think this way. Be particular. Time can be money for their case as well!

Confidence

Confidence comes to your life not because you have money, but because you have the ability and skill to earn money, you have the ability and skill to preserve your money. The confidence comes because you have the courage to take bold decisions; you have the intellectual ability to anticipate the consequences of your actions. Confidence comes not simply because you are a giver but you are a giver of your own things.

 

Rajib Sarkar

20.12.2022

বাংলা ভাষায় কোথায় আর একটু দেখা দরকার 

আমি নিজে বাংলা ভাষার কোনো পণ্ডিত নই। আমার বাংলা ভাষায় বই লেখা, বা অন্যান্য লেখালেখি করা আজ আর নেহাত খোশ খেয়ালের জন্যেও নয়। এর পিছনে অনেকগুলি কারণের মধ্যে একটি মূল কারণ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের কিছু বিষয়কে সাধারণ মানুষের জন্যে তৈরি করে যাওয়া, যাতে করে তাঁরা বিষয়গুলোকে অন্তত কিছুটা বুঝতে পারে। সেটা করতে গিয়ে আমাদের মতন অনেকেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই যেমন পরিভাষা, সুনির্দিষ্ট বানান, বাক্যের গঠন, এইরকমই কয়েকটি উদাহরণ। একটি বাক্যের শব্দের সঠিক বানান নিয়ে সেইরকম কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। এমন কি বাজারে কোনো নির্ভরযোগ্য স্পেল-চেকারও পাওয়া যায় না। আমরা যে যেভাবে তাঁর সুবিধা-মতন বানান লিখছি। বিভিন্ন লেখক, বিভিন্ন প্রকাশক এঁদের মধ্যেও কোনো সংগতি নেই। একটি বড় মাপের বই লিখতে গেলে তাই সেখানে থেকে যাচ্ছে অনেক ভুলভ্রান্তি, অনেক অসঙ্গতি, অযথা কাজ বাড়ছে, সময় নষ্ট হয়। সমস্যা হলো সরকার থেকে সেইরকম কিছু নিয়মও করে দেয়নি। অন্তত আমার তা জানা নেই। আমার প্রশ্ন হলো এই যে বাংলার সাহিত্য একাডেমি, বাংলার সাহিত্য পরিষদ সেখানে যারা বসে আছেন, যারা ভাষাবিদ, ভাষার পণ্ডিত, যারা বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যের মানুষ। তাঁরা কেন এই বিষয় নিয়ে আরও ভাবছেন না। একটা ভাষা যার সাহায্যে সমাজ তার বক্তব্য রাখে, তার সুনির্দিষ্ট কিছু কাঠামো দরকার, কিছু নিয়ম থাকা দরকার। তা কেন সবাই একসাথে, একই ভাবে মেনে চলছে না। আধুনিক সমাজে একটি ভাষার উন্নতি মানে তার টেকনিক্যাল দিকগুলিতে আরো নজর দেওয়া দরকার, এখানে প্রযুক্তির আরো বেশি করে প্রয়োগ করা যায় এই নিয়ে সরকারের কেন আলাদা কোনো উদ্যোগ থাকবে না। এই বিষয়গুলো আমাদের সকলের আরো বেশি ভাবা দরকার বলে মনে হয়।

রাজীব সরকার

২৩.১২.২০২২

Experienced intelligent and experienced ignorant

The difference between an experienced intelligent and an experienced ignorant one is that the former can anticipate the consequences of their actions but the latter one hardly can do that.

Rajib Sarkar

20.12.2022

বিজ্ঞান এবং মননশীল লেখক

মাঝে মাঝে মনে হয়, দুই বাংলার বেশ কয়েকজন বিজ্ঞান এবং মননশীল লেখক, বাংলায় না জন্মে যদি, অ্যামেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানির মতন দেশগুলোতে জন্মাতেন, এবং সেখানের ভাষায় তাঁদের চিন্তা এবং ভাব প্রকাশ করতেন, তবে তাঁদের পরিচিতি আন্তর্জাতিক এবং বাংলার মানুষের কাছে আরও বেশি হতো। কারণ পাশ্চাত্যের আড়ম্বর, জীবনযাত্রা এবং তাঁদের চিন্তা অদ্ভুতভাবে বাংলার মানুষদেরকে আকর্ষিত করে। অথচ তাঁদের কর্মনিষ্ঠাকে, সময় জ্ঞানকে, কর্মের প্রতি সততাকে, তাঁদের পেশাদারিত্বর সেইভাবে কোনোদিনই প্রাধান্য বা সম্মান দিল না।

রাজীব সরকার

০৪.১১.২০২২

Someone cannot evict someone, but someone may disown someone morally when necessary.

Rajib Sarkar

13.11.2022

Fear to face rejection

In our life in general we fear to face rejection. Often there is no valid reason for your rejection. But we do have to face that. We have to accept that. At times rejection makes you better, makes you strong, makes you independent, and makes you in the long run happy and successful. So face any rejection with a positive attitude.

Rajib Sarkar

11.12.2022

Arrogance from an ignorant

In regular life arrogance from an ignorant and/or less intelligent personality is much more disastrous than the arrogance of an intelligent personality.

Rajib Sarkar

07.11.2022

অভিজ্ঞতা যেখানে হয়ে ওঠে প্রান্তিক

জীবনে একটা সময় আসে তখন মানুষ আর তোমাদেরকে শোনে না, শোনে শুধু তোমাদের অভিজ্ঞতাকে। এই কথা আগেই জেনেছি। যারা শ্রোতা এঁদের মধ্যে অনেকেই হয়ত তোমাদের বাক্যের সাথে পুরোপুরি সহমত নয়, কারণ এঁদের নতুন চিন্তা, নতুন ভাবনা, তবু তাঁরা শোনে। শোনে এই আশায়, এই ভরসায় যে এঁদের থেকে কিছু পাবার আশায়, কিছু শেখার আশায়, নতুন পথ দেখার আশায়, নতুন আলোর খোঁজে। যে মানুষগুলো অনেক ঝর-জল পেরিয়ে, বহু ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে জীবনে অনেকটা পথ অতিক্রম করলো, দিবারাত্র পরিশ্রম করলো, বহু অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলো, তাঁদের থেকে কিছু শেখার আশায় শুধু শোনে। কিন্তু সমস্যা হলো জীবনে এমন একটা সময়ও আসে, যাঁদের অভিজ্ঞ মানুষগুলোর থেকে সবথেকে বেশি শোনার আবশ্যকতা আছে বলে মনে হয়, সেখানেই সে হয়ে ওঠে প্রান্তিক। অনেক মনঃকষ্ট নিয়ে, ব্যথিত হৃদয় নিয়ে তখন শুধু চুপ করে থাকা ছাড়া আর কিছুই থাকে না সেই মানুষগুলোর। কোন আইন দিয়ে, কোন ক্ষমতা দিয়ে, কোন বল প্রয়োগে এর প্রতিকার করবে তোমরা!

রাজীব সরকার

০৪.১১.২০২২

How loyalty works!

To run something very effectively, whether one should be loyal to a system, to an organization or simply loyal to some individuals. This appears some like to be loyal to a system, and some like to be loyal to the individuals and some like to maintain a balance between them. Some still think which one to choose and to what extent is not so easy to decide.

Rajib Sarkar

02.11.2022

Your citation index largely depends on how and when your start your research career

Imagine a situation where you started your research career as a junior scientist or as a PhD student or as a postdoc in the late 80’s of the previous century after the discovery of high temperature superconductivity in a prominent group who were working on the same field. Imagine a situation where you started the similar thing in the late 10’s of this century after the discovery of pnictides superconductors in another large group. At the similar time frame your friend, both of you studied together, joined some other group which works in a less timely research field, less hot but still works on an unsolved scientific problem. After several years you want to compare their scientific output in terms of publications and citations. What do you expect! Can you even compare! Even if you compare with which parameters you will compare! This is a small part of a long story. Imagine you work in a research institute in a large group where you need to take care of a little bit of administration, other responsibilities, like teaching, no worries about managing funds and so on. At the same time your friend works in an institution which is designed to educate people, not only is doing research! How could you now even compare their productivity! Imagine a situation where your friend deals with a project which is largely development of scientific instrumentations and/or methodologies, and you work on a ready-made problem, you receive nice crystals from chemist, maybe grow single crystals whose path is known, may be lucky enough to find some nice one, and distribute them to many groups, may be not needed to maintain a lab, performs experiments in a large-scale facility. Now you want to compare their output!  But the question remains who and how to count that the former person, perhaps, has spent a significant amount of time just to develop the system to do something useful, it may even have failed several times. In such cases only field specific experts can judge your credential properly. They will always locate you. So don’t go for such a terrible rat-race. Be focused, make your mind scientific which is more important, and contribute to the society, to your field, with your knowledge, with your expertise. Enjoy experiments, do calculations, communicate results, write articles, write books, and publish, give lectures, spend time with students, educate people in different branches, in different levels as much as possible, rather than doing all the time politics, rather than doing other useless things like pretending to be the boss of your own territory, and sneaking around any individuals personal and professional life. Don’t always go for what the masses think either, because it is easy to polarize them. Judge carefully how many intellectuals/smart people follow you, listen to you. There will always be people against your ideology, against your movements, against your activities, because they have different opinions. So, be focused, ignore perturbations.

Rajib Sarkar

28.10.2022

Make regular exercises to release your stress 

Socrates once said that ‘’It is a shame for a man to grow old without seeing the beauty and strength which his body is capable of’’. So, do regular exercises. Play football, do cycling, go for running, do hiking for many kilometers, and reach close to nature by doing hard work not just watching them from far apart. Not necessarily you have to go to an indoor GYM only. For a certain period of time by doing such exercises constantly pumps your heart with higher rate, keeps you healthy, and makes you stress free, keeps you engaged. Once one avid cyclist and climber, a German colleague of mine, told me that ‘"But you don't fly up a hill. You struggle slowly and painfully up a hill..." I personally think this is an excellent quote relevant to our life. 

Rajib Sarkar

25.10.2022

What is a scholarly article?

Those who are in the field of academics, often we ask ourselves a relevant question, that is ‘what is a scholarly article?’ The answer is not so straightforward. There is no as such strict boundary and/or well-defined terms and conditions to identify this as a scholarly article. Usually these are the following points one may consider.

1. Texts are written by experts. How do you judge a person who is expert in this field! There is also no as such straightforward answer. Who will judge this! A good checking point is to look for an author's credentials and/or affiliations. But affiliation will not help much in some cases. A person may be working in a specific field for many years, as outside from the main job, he/she can be an expert, in such cases, can we consider them as an expert.

2. They can be written for other experts or people in academia. Even a conversation, voice recording, adding some additional texts can also be considered as a scholarly article.

3. Say in condensed matter physics, we have a platform namely ‘Condensed Matter – arXiv’, running from the year 1992, where we can upload our research work, reviews or comments. There we don't need to have peer review. This we consider as a scholarly article.

3. Can we consider an article, or a book written in a vernacular language as a scholarly article! The answer is: Why not if this has been written by an expert. For technical writing, often the problem in such cases is that many technical terms do not exist in the native language. So, the author also has to invent some words. This is even more challenging. In such cases the author also must get some additional credential.

4. The text must provide reliable evidence for claims.

5. Sometimes they may be peer reviewed by the experts.

These are the points one can consider. There may be many more. Feel free to add your views.

Rajib Sarkar

23.10.2022

Alper Dodger Science Index concept: Why this is misleading!

I was checking the list of scientist rankings made by Stanford University by the Alper Dodger (AD) Science Index concept. This concept relies on the facts such as the number of citations, h index etc. But, if you check some of the scientists who are listed on the top, for example, a few of them are co-authoring articles with more than a few hundred authors. You have to use a search engine to find his/her name in the list. Often these are the highly cited papers. From this how could you judge the quality of an individual? The answer is simple. No, it is not possible. So, I would say this kind of ranking system is very random and not justifying the quality of individuals in comparison to the others. There is no uniformity in it. Even this is very much field specific. One must understand how science functions before making any judgments and identifying a specific individual as the top class of scientist. This kind of ranking can be partly misleading to the society.

Rajib Sarkar

20.10.2022

Place queries only relevant to their path breaking discoveries

There is a general misconception among the common people that a prestigious prize owner, such as Nobel Prize, Turing Prize, Fields Medal, Abel Prize, Breakthrough Prize etc., knows many things beyond their fields of specialization thoroughly. Therefore, often common people ask questions completely outside their fields of specialization and expect an answer from them. They own the prize because they made one or many outstanding contributions in their fields, which are often very specific. Of course, they are brilliant. Their outstanding intellect actually brings their outstanding achievements with a little bit of luck as well. Years after years they work on some specific problems, tireless efforts and dedication bring their success. They are very much focused. Often, they are not a 'jack of all trades, master of none'. People must understand they are specialists in some particular topics. So, give respect and ask those questions or place queries which are relevant to their work.

Rajib Sarkar

19.10.2022

Prizes are so important or otherwise!

Prizes are good. These give you recognition to the society, to the community. These certify your achievements, your quality of work, and your talent. These often make you even famous. Just because of these prizes you suddenly become outstanding. Of course, you are good, maybe even one of the best, this is why you receive a prize whereas others at the same time otherwise. But this is certainly not the whole spectrum. Often this is the case when you receive a prize because you were lucky enough to be present at the right time, right place and in the right hands. In reality there are many, talented, brighter and smarter people than you in your contemporary time, but simply for them time and place was not in favor.

Rajib Sarkar

14.10.2022

Citation inequity

Some years ago, one senior scientist commented that ‘A woman with a higher degree in physical science finds her ways and/or secures a place in the modern society as far as scientific position is concerned, anyways’. We are inclined to accept how brutally this is true in academics. Just recently even Nature physics published one article with the title ‘Citation inequity and gendered citation practices in contemporary physics’ and an editorial with the title ‘Just citations’ highlighting the facts that paper/articles authored and/or co-authored by women scientists are discriminated against and/or less cited. I personally don’t know what to comment on that.

Rajib Sarkar

12.10.2022

Some thoughts about immigrant scientists

There is a general misconception among a substantial amount of the Indian subcontinent population that those who are living temporarily or permanently in countries like Germany, USA or other European countries have their life in bed of roses. They need not to work hard, they need not be competent, they have no daily struggle, everybody lives in a big house, owns a classic car, and their life is free of trouble. Are these really true! The answer is simply no. Since I have been living in Germany for more than 14 years, I can certainly shed light on some of the important facets of our daily struggle. To begin with, in our daily life, we do all things on our own, namely, cleaning our rooms, cleaning our kitchen, preparing our food, washing our clothes, washing our dishes, cleaning our toilet, maintenance our household, drilling, fixing our cycle, fixing light, and taking care of our children and many other things that need to be taken care to live a healthy life. Yes, indeed we are independent. I do respect these. This is how it should be.

For sure Germany is rich, or to say a wealthy country, but average Germans are not rich. More than 50 % of the German population doesn’t own real estate property, not owning their own apartment or house. Significant portion of the German population do not have enough bank balance. The majority of the wealth of this country has been distributed very unevenly. The wealthiest one percent of the population owns 35 percent of Germany’s net assets. We, the first-generation immigrants, always face substantial problems to adjust. We belong to the average German society, from asset perspective, from intellectual perspectives otherwise, though.

I guess the picture is similar to many other countries for immigrants. I am a scientist and academician, a physicist, a very much respected profession in Germany. Yes, I do get respect. Indeed, we receive a moderate salary to maintain a standard and easy-going lifestyle. In conventional wisdom, to buy an apartment, to own a standard car, now and then to have foreign trips, perhaps, we can enjoy it. But we have to work hard every day. We have to be very competent to maintain our standard, the quality of our work to an international level, to say 'Made in Germany'. It is not at all a relaxing life. Even if we accept our present status, being a scientist, the path was not so easy. We have fought for that. Still, we are fighting every day. I cannot complain, Germany has given me a place to grow, the intellectual community of Germany has embraced me. Why should I then complain! No indeed not. This was my choice to be here. But I must advocate and throw a challenge to them, those who are ignorant, and rather than appreciating the relevant struggle, simply envy, and think we don’t have everyday struggles, we don’t have problems in our life. We do have.

Rajib Sarkar

08.10.2022 

বাঙালির উৎসব 

পৃথিবী ধরে বাঙালি জাতির এখন উৎসবের মরশুম। ইউরোপ, অ্যামেরিকা, এশিয়া সর্বত্র জুড়েই চলেছে সেই আনন্দের জোয়ার। সমাজ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, মিডিয়া খুললেই পূজোকেন্দ্রিক ছবি, ভিডিও, আর তার প্রচার। বিরাট এক বাজার। প্রায় ১০ কোটির বেশি বাঙালি হিন্দু বলে কথা। ভোগের ছবি, মূর্তির ছবি, সুন্দর পোশাকে নিজেকে ঢেকে, সেজে-গুজে মুখে রঙ লাগিয়ে সিঁদুর খেলার ছবি। রীতিনীতি মেনে চলছে আরাধনা, ভক্তির জোয়ারে, আন্তরিকতার মোলায়েম স্পর্শে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে কোটি কোটি মানুষ আজ আপ্লুত। শব্দ দূষণ, জল দূষণ কে তোয়াক্কা করে তার। কেউ নিরামিষ পাত্রে ভোগ রান্না করে নিয়ম পালন করছেন, অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে মন্ত্র উচ্চারিত হচ্ছে, পান থেকে চুন খসলে ভয়ঙ্কর অমঙ্গলের আশঙ্কা। কেউ অঞ্জলি দিয়ে নিজেকে শান্তি দিচ্ছেন, কেউ প্রণাম করছেন বা নিচ্ছেন, কেউ আরতির হালকা আঁচে হাত বুলিয়ে, সেই হাত মাথায় ঠেকিয়ে নিচ্ছেন। সাধারণ, অসাধারণ, অল্পশিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত অসংখ্য মানুষ এই কর্মকাণ্ডে নিজেকে অসাধারণভাবে বিলিয়ে দিয়েছেন। কেউ মেনে নিচ্ছেন, কেউবা মানিয়ে নিচ্ছেন। অল্প কিছু মানুষ শুধু নীরব দর্শক হিসেবে এই মহা-কর্মকাণ্ডের যেসব রীতিনীতি তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ও যুক্তি খোঁজার চেষ্টায় বিফল হয়ে শেষে উৎসবের মজাটুকু নিয়েই দৈনিক কর্মকাণ্ডে আবার ফিরে যাচ্ছেন।

রাজীব সরকার

06.10.2022 

 

সমাজ, সংসার বিষয়টি আপেক্ষিক

সমাজ, সংসার বিষয়টি আপেক্ষিক। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, একটা সময়ে সমাজে ট্রান্স-জেন্ডার, সমকামী, একক মাতা বা একক পিতা এঁদের কোনো জায়গা ছিলও না। এঁদেরকে দেওয়া হয়নি কোনো জায়গা। আজ তাঁরা বিভিন্ন সভ্যতায় জায়গা পেয়েছে। এখনও অনেক সভ্যতায়, তাঁদের সমাজে এদের সংসারের কোনো যথাযথ মর্যাদা নেই। কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাসে ভরপুর মানুষেরা, শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, যারাই যুগ যুগ ধরে সমাজের মূল ধারার মানুষ ছিলেন, এঁদেরকে সমাজ বহির্ভূত করে রেখেছেন। অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারে ভরপুর রীতিনীতি যুগ যুগ ধরে একটা বড় অংশের মানুষকে আলো থেকে করে রেখেছে বঞ্চিত। আজ সমাজ অনেকটাই বদলেছে। বদলেছে তার কারণ, তা সমাজের মূল ধারার মানুষদের জন্যে কিন্তু নয়, সমাজ বদলেছে অল্প কিছু মানুষের জন্যে। সে আমরা সকলেই জানি। মানি কিনা সে অন্য প্রশ্ন। স্রোতে গা ভাসানো সহজ, রীতিনীতি মেনে সমাজের একটি অংশ হিসেবে বেঁচে থাকাও খুব জটিল নয়। জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্যে মূল স্রোতে নিজেকে বিকিয়ে দেওয়াও চিরাচরিত প্রথা। আসলে মৌলবাদী, চরমপন্থি মানুষ তৈরি হয় যথাযথ শিক্ষার অভাবে। সে দায়ভারও সমাজের। নীল পৃথিবীতে আজ অবধি যতো বড় অশান্তিই হয়েছে তার অধিকাংশই নিজের সংস্কার, রীতিনীতি এইসব বজায় রাখতে গিয়েই, তাও ভুলে গেলে চলে না। কোনটা সংস্কার, কোনটা কুসংস্কার, কিসে সমাজের ক্ষতি, পরিবেশের ক্ষতি, প্রজন্মের ক্ষতি তার ক্রিটিক্যাল বিশ্লেষণ সবারই করা দরকার। কিন্তু তা কি সত্যিই হয়!

 

রাজীব সরকার

 07.10.2022

bottom of page